 
									রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজ রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুল ইসলাম কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি জালাল আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ও মো. রবিউল হক মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে থাকতেন। জালাল আহমদ সিনিয়র হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে মো. রবিউল হককে রুমের ভেতর মারধর করতো এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন। গত ২৭ আগস্ট রাতে রবিউল হক রুমে ঘুমচ্ছিলেন, এমন সময় রাত সাড়ে ১২ টায় দিকে জালাল আহমদ রুমের ভেতরে প্রবেশ করে লাইট জ্বালায় এবং চেয়ার টানাটানি শুরু করে। এতে বিকট শব্দে রবিউলের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
রবিউল হক আসামি জালাল আহমেদকে বলেন, ‘ভাই সকালে আমি লাইব্রেরিতে যাব, আপনি একটু আস্তে শব্দ করেন। এতে জালাল আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউল হককের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু করে। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে জালাল আহমেদ রবিউল হককে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে রবিউল হকের কপালে জখম হয়।
পরে জালাল আহমেদ রুমের ভেতর থাকা পুরাতন টিউবলাইট দিয়ে রবিউল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে পুনরায় মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। রবিউল হক মাথা সরিয়ে নিলে টিউবলাইটের আঘাত তার বুকের বাম পাশে লেগে টিউব লাইট ভেঙ্গে গুরুতর জখম হয়। পরেঅন্যান্য রুমের ছাত্ররা আহত রবিউল হককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
মামলায় আরও বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াধীন। মামলার ঘটনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তদন্তকালীন আসামিকে জামিনে মুক্তি দিলে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাঘাত ঘটবে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই জালালকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা এই মামলা করা হয়।







