জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছে। এর ফলে তেহরানের ওপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরান একে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’ সিদ্ধান্ত আখ্যা দিয়েছে।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটি ৪-৯ ভোটে খারিজ হয়। রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও আলজেরিয়া নিষেধাজ্ঞা বন্ধে ভোট দিলেও নয়টি দেশ নিষেধাজ্ঞা ছাড়ের বিপক্ষে ভোট দেয় এবং দুটি দেশ বিরত থাকে। এর ফলে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো বড় ধরনের চুক্তি না হলে ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা আবারও কার্যকর হবে।

এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগস্টের শেষ দিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্যোগে। ‘ই-থ্রি’ নামে পরিচিত এই তিন দেশ জানায়, তেহরান তাদের শর্ত পূরণ না করলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে।

জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি পরিষদে বলেন, ‘আজকের এই পদক্ষেপ তড়িঘড়ি, অপ্রয়োজনীয় ও বেআইনি। ইরান এ বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা স্বীকার করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ই-থ্রি দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের চেষ্টা ভিত্তিহীনই নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর সরাসরি আঘাত।’

ইরাভানি অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে নেওয়া হয়েছে, যারা জুনের ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।

তার ভাষায়, নিরাপত্তা পরিষদ ‘সংলাপ ও ঐকমত্যের সুযোগ নষ্ট করেছে’।

  • Related Posts

    সমঝোতার পথে ট্রাম্প-শি, নভেম্বরে মুখোমুখি বৈঠক

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে এক ফলপ্রসূ ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপে দুই দেশের বাণিজ্যের পাশাপাশি টিকটক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়। আজ শুক্রবার টেলিফোনে দুই নেতার আলাপ…

    পাকিস্তান-সৌদির ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি, রিয়াদকে যে বার্তা দিল ভারত

    পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের এক ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ নিয়ে সরকারের…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *