 
									আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে ঢাবির ১৮টি হলে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার গভীর রাতে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১২টার পর স্যার এ এফ রহমান হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল, মুহসীন হল, রোকেয়া হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তারা বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসির সামনে সমবেত হন। সেখান থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এ নীতিমালার অধীনে প্রতিটি হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
একই সঙ্গে ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানান ঢাবি উপাচার্য।
তবে উপাচার্যের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে হলে রাজনীতির সম্পূর্ণ অবসান দাবি জানিয়ে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- কেন কমিটি দেওয়া হলো উপাচার্যকে তার জবাব দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং (বিদ্যমান) গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে ঢাবির ১৮টি হলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও হলে কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।






