
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অন্যদের থেকে নিজেদের প্যানেলকে আলাদা হিসেবে দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীতি সহসভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান। কেন তাদের প্যানেল আলাদা, সেটিও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘গতকালকে (বুধবার) বাংলাদেশ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের প্যানেল নির্বাচিত করেছি। সেই প্যানেলই গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ঘোষণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা যে সূচনা করেছি, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো ছাত্রসংসদ নির্বাচনে, এই ইতিহাস বিরল যে কোনো সংগঠনের অভ্যন্তরে নেতাকর্মীরা ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে তারা তাদের প্রার্থী নির্ধারিত করেছে। মানে আপনি একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে, আপনার অভ্যন্তরীণ ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে সেই প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে বিরল। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই যে প্রথম এভাবে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে একটা সংগঠন তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করেছে।’
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘আশাকরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেটাকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাবে এবং সেই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের পাশে থেকে উৎসাহ দেবে। সব সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের উৎসাহ দিয়েছে বলেই আমার সংগঠন এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্যানেলে আমরা যথেষ্ঠ অন্তর্ভুক্তিমূলকৈ প্যানেল করার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই প্যানেলে ক্রীড়াবিদ থেকে শুরু করে, আধিবাসী যারা আছেন, আবার যারা এসেছেন তাদেরকে আবার এমন না যে আমরা কোটায় এখানে নিয়ে এসেছি। আমাদের যে চীম চীমা চাকমা যিনি আছেন, আপনারা দেখেছেন কত সুন্দর তিনি ফুটবল খেলেন! সুতরাং যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনি এখানে এসেছেন। তারপর হলো যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, তারপর হলো যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, সামগ্রিকভাবেই আমরা মেয়েদের, আমাদের বোনদের ব্যাপারে প্রায়োরিটি দিয়েছি। আরও যে ব্যাপারগুলো, একটা প্যানেলকে অর্ন্তভুক্তিমূলক করতে যত গুণাবলি প্রয়োজন, সেই গুণাবলি সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা প্যানেল নির্ধারিত করেছি।’
আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আরেকটা জিনিস আপনারা অবাক হবেন, অন্যান্য যে প্যানেলগুলো আপনারা দেখেছেন সেই প্যানেলগুলোতে তাদের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে ভিপি, জিএস, এজিএস পদে এসেছেন। সেই জিনিসটা থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কিন্তু পুরোপুরি আলাদা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে, আমাদের যারা প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি আছেন তারা কিন্তু ইচ্ছা করলেই ভিপি, জিএস, এজিএস (প্রার্থী) হতে পারতেন, কিন্তু তারা বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে তারা তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে, তারা নিজেদের মধ্যে একটা নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা তাদের জুনিয়রদেরকে সামনে এনেছেন এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা সে সুযেযাগ তৈরি করে দিয়েছেন। যার কারণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলটা অন্যান্য সকল সংগঠনের প্যানেল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’