
সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। দেশে মোট দুর্ঘটনার প্রায় অর্ধেকই ঘটছে চালকের অতিরিক্ত গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৫ কিলোমিটার দ্রুতগতিতেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায় চারগুণ। তবে যাত্রীচাপ, প্রতিযোগিতার মানসিকতা ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে বিদ্যমান যানবাহন আইন কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- প্রযুক্তি, আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা এক সঙ্গে না থাকলে গতিসীমা কাগজে-কলমেই থাকবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, গত জুলাই মাসে ৪৪৩টি দুর্ঘটনায় ৪১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫৬ জন। ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১০৯ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত মাসে ২১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, যা মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, সড়কে স্পিড ক্যামেরা ও জিপিএস বসাতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে।
দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা কারণ অতিরিক্ত গতি। এ ছাড়া পথচারীদের অসচেতনতার কারণেও সড়কে নিহতের ঘটনা বাড়ছে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি এবং চালকদের প্রশিক্ষণ দরকার। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনঘনিষ্ঠ সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে।
সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস, জিপ ও প্রাইভেট কারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। চালকরা অনেক সময় ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিতে গাড়ি চালান। ভারী গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে মোটরসাইকেল, যার সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও গতি কমালে চালককে ব্যঙ্গ করেন।
বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিজীবী লিয়াকত হোসেন বলেন, তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর। তিনি বেশিরভাগ সময় বৃহস্পতিবার অফিস শেষে গ্রামের বাড়ি যান। গুলিস্তান থেকে বাস ছেড়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি বা আরও বেশি থাকে। চালকদের তিনি নির্ধারিত গতিসীমায় গাড়ি চালাতে বলেন। কিন্তু গতিসীমা কমালে যাত্রীরাই তাকে ব্যঙ্গ করে ‘ঠেলাগাড়ির ড্রাইভার’ বলে। আবার বাসের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল ওভারটেক করে চলে যায়। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানের অভিযোগে রাস্তায় পুলিশ বা প্রশাসনের কাউকে কোনো দিন গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসা কিংবা জরিমানা করতে দেখেননি বলে জানান এই যাত্রী।
প্রায় দুই যুগ ধরে ভাড়ায় ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাইক্রোবাস চালান ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে