 
									ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করতে চেয়েছিলেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি ডাকসুতে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট থেকে ভিপি পদে লড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি ইমি। আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বাম গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রার্থী ইমি বলেন, ‘(শেখ হাসিনাকে) ডাকসুর আজীবন সদস্য চাই কি না, সে প্রশ্নটা তো ওখানেই মীমাংসিত হয়ে যায়। এখন যদি তাকে আমি চাই, তাহলে আমি এক দফা কেন চাইব?’
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানালে বা মন্তব্য করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ অবলম্বন করা হয়—সেটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার একটি অবদান ছিল।’
সমালোচনাকারীরাই আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সুবিধাভোগী দাবি করে ইমি বলেন, ‘যারা এই ট্যাগগুলো দিচ্ছে, তারাই বরং ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের অনেক সুবিধাভোগী। আমি আওয়ামী লীগের বিপক্ষে এত শক্তভাবে আন্দোলন-প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরেও এই ট্যাগ আমাকে দিতে হয়!’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ট্যাগিং রাজনীতি চাই না। তাদের ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট ছিল, যাদের আওয়ামী লীগের নেতার চাইতে বেশি ভূমিকা ছিল, যাদের গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনাকে মা ডেকে আসার মতো নজির আছে, যারা ছাত্রলীগের চেয়েও বড় ছাত্রলীগার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন, তাদের কাছ থেকে আসলে এই ট্যাগ পেয়ে আমি তাদের কী বলব, তাদের মুনাফেকি তো দৃশ্যমান।’
আওয়ামী লীগের টাকায় ডাকসু নির্বাচন করার অভিযোগের বিষয়ে ইমি বলেন, ‘টাকা দিয়ে যদি আওয়ামী লীগ আমাকে দাঁড় করাতো, তাহলে আমাকে তো সিজারের সাথে দাঁড় করাতো। বাম দলে কেন যাব?’
বাম গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্যানেলকে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘আমার কাছে আমার প্যানেলের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই তো আমি এই প্যানেলে এসেছি।’








