কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার পতন মানে মুক্তিযুদ্ধের পতন নয়, বঙ্গবন্ধুর পতন নয় এবং স্বাধীনতার পতন নয়। কিন্তু এই বিষয়টি অনেকেই বুঝতে চাইছেন না।’
অনুসারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সামনে কঠিন সংগ্রামের দিন আসছে। তোমাদের রাস্তায় নামতে হবে। আজকে যারা এসেছ, আমি খুব খুশি হয়েছি দেখে। শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই, তবে সেই শক্তি হতে হবে নিয়ন্ত্রিত শক্তি। পুলিশ বাইরে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে, লাঠি যাতে প্রয়োগ করতে না হয়। যেদিন রাস্তায় নামব, সেদিন লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না।’
আজ সোমবার বিকালে পূর্ব ঘোষিত কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার বাড়ি ধ্বংস করে দিয়ে যদি দেশে শান্তি হয়, আমি তাতেই রাজি। এখন আমার বয়স ৮০ বছর, আমি চলে যেতে পারলেও খুশি হবো।’
কাদের সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা ২৪শে বিজয়ী হয়েছেন, তারা যদি ব্যর্থ হন, ভবিষ্যতে যদি কেউ স্বৈরাচার হয়ে ওঠে, সাধারণ মানুষ তখন আর রুখে দাঁড়াবে না—এটাই আমার ভয়।’
টাঙ্গাইলের বাসাইলে ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের মিটিংয়েও বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই দেশ মুক্তিযোদ্ধারাই পয়দা করেছেন। সরকারের উচিত ছিল দেশে সুন্দর স্মৃতি ফিরিয়ে আনা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাসায় আক্রমণ করা হয়েছে। যদি এটা সম্ভব হয়, তবে সবার বাসায় আক্রমণ করা সম্ভব। কারো নিরাপত্তা নেই। দেশ যদি পাকিস্তান হয়ে যেত, আমি পাকিস্তান ভেঙেছিলাম বলে আইন অনুযায়ী আমার ফাঁসি হতো। তাতেও আমার আপত্তি থাকত না। এখনো নেই। তাই বলছি দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই।’
অনুসারীদের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সামনে কঠিন সংগ্রামের দিন আসছে। তোমাদের রাস্তায় নামতে হবে। আজকে যারা এসেছ, আমি খুব খুশি হয়েছি দেখে। শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই, তবে সেই শক্তি হতে হবে নিয়ন্ত্রিত শক্তি। পুলিশ বাইরে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে, লাঠি যাতে প্রয়োগ করতে না হয়। যেদিন রাস্তায় নামব, সেদিন লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না।’






