
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘নাগরিক হিসেবে আপনার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ভোটের অধিকার কীভাবে নিশ্চিত করবেন, এটাই এখন সাংবিধানিক আইনের মুখ্য প্রশ্ন।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনে আয়োজিত জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্বের ফাইনাল রাউন্ডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ভোটাধিকার হরণের কারণে গত ১৭ বছরে অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়েছেন। এই সময়ে ৭০০-র বেশি মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন, বিনা বিচারে নিহত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। প্রায় ৬০ লাখ মানুষ রাজনৈতিক নিপীড়ন ও গায়েবি মামলার শিকার হয়েছেন, যার ৯৯ শতাংশ মামলার বাদী ছিলো পুলিশ।’
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের পরিবার এখনো সন্তানদের খোঁজে অপেক্ষা করছে। এমন আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে স্বপ্ন থাকবে, তবে সেই স্বপ্ন যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি না করে—সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেন, এ সময়ে দেশে কোনো গুম বা গায়েবি মামলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ তদন্তকালীন ভুয়া মামলার অভিযোগ প্রতিকারের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ (ক) ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এখন ভুক্তভোগীরা পুলিশ কমিশনার বা এসপির কাছে আবেদন করলে তারা তদন্ত করে প্রতিকার দিতে পারবেন।’
প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’। আঞ্চলিক পর্ব শেষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব।
অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, ঢাবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক একরামুল হক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।