
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সমাধান হোক।’
আজ মঙ্গলবার গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পরিণাম ভবিষ্যতে ভয়ংকর চর্চায় রূপ নেবে। নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে গেলে স্বৈরাচারের সঙ্গে যুক্ত ২৮টি দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে? এটার উদ্দেশ্য এমন হতে পারে যে, নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধা নিতে আন্দোলনকারীরা আরও দলের নিষিদ্ধের দাবি জানাতে পারে। এতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে। এ সূত্র ধরে পতিত শক্তি সুযোগ নেবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য অথবা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যেকোনো রাজনৈতিক কৌশলকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এটা আমরা আগেও বলেছি। কারণ ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবি আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের মানুষ গত ১৬-১৭ বছর অবিরাম সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে।’
সালাউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের দাবি পরে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই অধিকার তখনই প্রতিষ্ঠা হবে যখন আমরা অবাধ-সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ পাবো, সরকার পাব। সুতরাং যারাই এই পথে বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এসব রাজনৈতিক কর্মসূচির জবাব দেওয়ার জন্য জনগণই বিচারক।’