আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানার মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ ৫ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন তাকে আদালতে হাজির করেজবানবন্দী রেকর্ড করার আবেদন করেন।
গত ৭ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ মামলায় গ্রেপ্তার চালক লীগের সভাপতি মিলন শিকদার গত রবিবার আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সোবহান গোলন্দাজ নামের একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক তাকে সেখানে নিয়ে যান। ওই সভায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলের ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী সরাসরি এবং অনলাইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন। প্রশিক্ষণে হ্যান্ড মাইক হাতে তিনিই (সুমাইয়া জাফরিন) সবাইকে পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।
জবানবন্দী শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত শনিবার উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে মিলন শিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায় , গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারাদেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জ্যোতির্ময় মন্ডল সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।








