প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। সর্বশেষ আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ২৪২ কোটি ডলার। এটি আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের আগস্টে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় আসে দেশে। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ২২২ কোটি ২০ লাখ ডলার। অন্যদিকে গত জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় আসে। সে হিসেবে আগের মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় দুই শতাংশের মতো কমেছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-আগস্ট) প্রথম দুই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৪৯০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এসেছিল ৪১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এই হিসাবে দুই মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রায় ২৮২ কোটি ২৫ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আগের মাস মে’তেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে দেশে। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, যা একক মাস হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল। এর আগে একক মাস হিসেবে রোজার ঈদের মাস মার্চে রেকর্ড ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
মূলত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ গতি নিয়ে বাড়ছে রেমিট্যান্স। পরিসংখ্যান বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার মাস গত বছরের আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার ও মে মাসে ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ৩ হাজার ৩২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার (৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন)। এটি এক অর্থবছরের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। তার আগের অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ১২ লাখ ডলার।






