দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার পর সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল ঘোষণা শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভোট গণনা সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে হলের কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে আনা হয় এবং রাত ১০টার কিছু পর শুরু হয় ভোট গণনা। তবে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করায় ফল প্রকাশে এত সময় নিল নির্বাচন কমিশন।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৩টি। এটি মোট ভোটের প্রায় ৬৮ শতাংশ।
জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন লড়ছেন। এ ছাড়া হল সংসদের লড়ছেন ৪৪৫ প্রার্থী।
ছাত্রদের হল ও ভোটার সংখ্যা– আল বেরুনী হল: ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল: ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হল: ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হল: ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হল: ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হল: ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হল: ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল: ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হল: ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হল: ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হল: ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হল ও ভোটার সংখ্যা– নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল: ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হল: ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হল: ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হল: ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হল: ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হল: ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল: ৫৭১ জন, রোকেয়া হল: ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হল: ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হল: ৯৮৩ জন।
জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে এবার ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে- সহ সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া মোট প্যানেল ছিল ৮টি। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে-বামপন্থী, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হলে ভোটগ্রহণ হয়, সব মিলিয়ে ২১টি ভোট কেন্দ্র এবং ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছিল।
তবে বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন বয়কট করেছেন ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থী। এ ছাড়া নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে একজন নির্বাচন কমিশনারসহ বিএনপিপন্থী চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।








