
১। রাজধানীর লালবাগ থানাধীন এলাকায় গত ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস হতে একটি ভাড়া বাসায় ভিকটিম (২৪) তার স্বামীর সহিত বসবাস করে আসছিল। ভিকটিমের স্বামী পারিবারিক কাজে বাড়ির বাইরে থাকায় ভিকটিম লালবাগের ঐ ভাড়া বাসায় অপর ভিকটিম তার এক বান্ধবীকে (২৬) রাতে থাকার জন্য বাসায় নিয়ে আসে। গত ১১/১২/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ০১.০০ ঘটিকায় আসামী মোঃ জনি (৩১) তার সঙ্গীয় অপরাপর ৬-৭ জন আসামীসহ উক্ত বাড়ির কেয়ারটেকারকে সাথে নিয়ে তল্লাশীর নাম করে ভিকটিমের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে। তল্লাশীকালে কোন কিছু না পেয়ে আসামী জনিসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমকে তার নিজ কক্ষে এবং ভিকটিমের বান্ধবীকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুইজনকে রাতভর জোরপূর্বক পালাক্রমে গনধর্ষণ করে।
২। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম (২৪) ধর্ষনের বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। এরপর ভিকটিম তার স্বামীর সাথে আলোচনা করতঃ ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ডিএমপি ঢাকার লালবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত গণধর্ষণে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক র্যাব-১০ বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪/০২/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ২১:১০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর লালবাগ থানাধীন নবাবগঞ্জ রোড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ডিএমপি ঢাকার লালবাগ থানার মামলা নং-১১,তারিখ-১২/১২/২০২৪,ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩),৯(৪)(খ)/৩০; গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী মোঃ জনি (৩১), পিতা-মোঃ ইউনুস মোল্লা, সাং-বালিবুনা, গাবখান ধানসিঁড়ি, থানা-ঝালকাঠি সদর, জেলা-ঝালকাঠি’কে গ্রেফতার করে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তাপস কর্মকার
সিনি. সহকারী পুলিশ সুপার
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০
অধিনায়কের পক্ষে