পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে গার্মেন্টসশিল্পে জড়িত কারও আপত্তি বা সুপারিশ থাকলে তা ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। আর আপত্তি বা সুপারিশ না পাঠালে খসড়াটি চূড়ান্ত আকারে জারি করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে পোশাক শ্রমিকদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘ক’ শ্রেণিতে গ্রেড-১ হিসেবে রাখা হয়েছে সিনিয়র অপারেটরদের (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-২ এ অপারেটর (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-৩ এ জুনিয়র অপারেটর (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-৪ এ সাধারণ অপারেট (সব ধরনের মেশিনের জন্য) এবং গ্রেড-৫ এ সহকারী অপারেটরদের (সব ধরনের মেশিনের জন্য) রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে গ্রেড-৫ এর সহকারী অপারেটর বা হেলপারের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৬ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা এক হাজার ২৫০ টাকা। একইভাবে গ্রেড-৪ এর সাধারণ অপারেটরদের বেতন ১৩ হাজার ২৫ টাকা, গ্রেড-৩ এর বেতন ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা, গ্রেড-২ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ১৫০ টাকা এবং গ্রেড-১ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, একজন শ্রমিক এক বছর শিল্পে কর্মরত থাকার পর তার বার্ষিক মূল মজুরি হবে ৭ হাজার ৩৫ টাকা। পরবর্তীতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি পারে। অর্থাৎ মূল মজুরি ৭ হাজার ৩৫ টাকার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে ৭ হাজার ৩৮৬ টাকা নির্ধারিত হবে