# মনোনয়ন চান দুদকের মামলার আসামি
# চাঁদাবাজি, ভূমি অধিগ্রহণ দালাল, স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরাও চান টিকিট
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের ৪টি সংসদীয় আসনে নৌকার কাণ্ডারি হতে চান নানান স্তরের ৮৭ ব্যক্তি। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। গত চার দিনে চট্টগ্রাম মহানগরের ৪টি আসনে যে ৮৭ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, তাদের মধ্যে নানান ঘটনায় সমালোচিত ব্যক্তিও রয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার একাধিক আসামি। তাছাড়া চাঁদাবাজি, ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) দালাল, স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিও নৌকার টিকিট পেতে তদবির চালাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর আংশিক) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন আরও ২৫ জন। দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, তার ভাই বিজিএমইএ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল কাদের সুজন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. আরশেদুল আলম বাচ্চু, প্রয়াত সংসদ সদস্য মাঈনুদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, নগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. দিদারুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী, ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ এমরান ও তার স্ত্রী সিডিএ বোর্ড সদস্য অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পুত্র মুজিবুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাবেদুল আলম মাসুদ, চসিকের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, মো. বেলাল হোসেন, এসএম কফিল উদ্দিন, কাজী শারমিন সুমি, এসএম নুরুল ইসলাম, নগর যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু তাহের, আশেক রসুল খান, এম এ সুফিয়ান সিকদার, মো. খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মনছুর আলম পাপ্পি, এটি এম আলী রিয়াজ খান, মো. সাইফুল ইসলাম, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান এবং শেখ আমেনা খাতুন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তার সঙ্গে মনোনয়নের দৌড়ে আছেন আরও ১৫ জন। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চসিকের কাউন্সিলর মো. শহিদুল আলম, নগর আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. দিদারুল আলম, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মো. জালাল উদ্দিন, আমিনুল হক, শাহজাদা মোহাম্মদ ফৌজল মুকিম খান, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. শফর আলী এবং মো. রাশেদুল হাসান।
চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী–ডবলমুরিং) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন ১৯ জন। এ আসনেও মনোনয়ন চেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আরও মনোনয়ন চেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চসিক প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, চসিকের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কেবিএম শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. শফর আলী, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়সাল আমীন, মো. আসলাম হোসেন, জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, মো. ছালামত আলী, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আফসারুল আমীনের ভাই মো. এরশাদুল আমীন এবং লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ।