সারা দেশে চতুর্থ দফায় অবরোধ চললেও সিলেটে তীব্র যানজটের কবলে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে কয়েকশে যানবাহন আটকা পড়লেও কোথাও ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় রাস্তায় প্রচুর যানবাহন ছিল। মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকায় নগরীর প্রত্যেকটি মোড়ে অসহনীয় যানজট তৈরি হয়।
অবরোধের ছিটেফোঁটাও কোথাও লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যান্য দিনের মতো অবরোধকারীদেরও রাস্তায় তেমন দেখা যায়নি।
তবে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নগরের জিতু মিয়ার মোড় ও কাজিরবাজার ব্রিজ এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতাকর্মী। এ সময় তারা ওই এলাকার পিকেটিং করার প্রস্তুতি নেন। পরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুনুর রশীদকে আটক করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চতুর্থ দফায় অবরোধে সিলেট শহরে যানবাহনের চলাচল আগের অবরোধগুলোর তুলনায় বেড়েছে। শহরের ভেতরে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত যানবাহন, লেগুনা ও মোটরসাইকেলে মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শহর থেকে বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবরোধের মাঝেও সিলেটে তীব্র যানজট
ডিবি পরিচয়ে র্যাব সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি
সকাল থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, মিরাবাজার, বন্দরবাজার, শিবগঞ্জ, সোবহানীঘাটে যানজট তৈরি হয়। গুরুত্বপূর্ণ এসব পয়েন্টে ট্রাফিক না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয় পথচারীদের।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় বিত্রনপি ও অঙ্গসংগঠনের আটজনকে আটক করা হয়েছে।’
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ নগররে যানজটের কথা স্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা অবরোধের সময়ে মানুষের জানমালের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আশা করি আগামী দিনে এমন যানজট থাকবে না।’