‘অভিমান করে ঘুমিয়ে আছেন গানের পাখি বুলবুল’
বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা ছিলেন। ২০১৯ সালের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। প্রয়াণ দিবসে এই গানের স্রষ্টাকে স্মরণ করেছেন তার সহকর্মী ও দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মনির খান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মনির খান লিখেছেন, ‘আমরা যাদের গান শুনে বেড়ে উঠেছি, যাদের অভিনয় দেখে বেড়ে উঠেছি, যাদের লেখায় বুঁদ হয়ে থেকেছি, যাদের দেখে আমরা বড় হতে চেয়েছি, আমাদের স্বজন যারা, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই জীবনের বিকেলবেলায়। রোদ নিভে আসছে অনেকের। সন্ধ্যা সমাগত। আমরা কদিন বাদে বাদেই এমন মৃত্যু সংবাদ শুনবো। এটাই সত্য। খুব কঠিন সত্য। বড় নির্মম সত্য। মৃত্যু ছাড়া আর কেউই সময় মতো আসে না। তৈরি থাকতে হবে আমার, আপনার সকলেরই। এটা বললে হবে না ‘এ হতে পারে না, অবিশ্বাস্য, বিশ্বাস করতে পারছি না, অসম্ভব। মৃত্যুই সবচেয়ে বড় সত্য, যা বিশ্বাস করতে আমরা বাধ্য।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এক বিখ্যাত পাখির নাম। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা এই পাখিরা সুরের ধারক। লড়াকু পাখি হিসেবে দুনিয়া জুড়ে খ্যাতি রয়েছে পাখিটির… আজ ঘুমিয়ে রয়েছে আমাদের গানের পাখি বড় অভিমান করে। ভালো থাকবেন ওপারে!! আজকে তাঁর প্রয়ান দিবসে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমরা আপনাকে ভুলিনি ভুলবোনা কিংবদন্তী।’
আমরা যাদের গান শুনে বেড়ে উঠেছি, যাদের অভিনয় দেখে বেড়ে উঠেছি, যাদের লেখায় বুঁদ হয়ে থেকেছি, যাদের দেখে আমরা বড় হতে চেয়েছি,…
১৯৭০-এর দশকের শেষ লগ্ন থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।