ক্যাপিটল হিলে হামলার নির্দেশনা এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ভাষণ দেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বক্তব্যে তিনি সমর্থকদের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবন ইউএস ক্যাপিটলের উদ্দেশ্যে সবাইকে বিক্ষোভ মিছিল করার নির্দেশনা দেন। তার সমর্থকরা সেখানে পৌঁছেই শুরু করে হামলা। এই হামলার সকল নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এসেছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাতে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্যাব ও পারলারে হামলা সম্পর্কে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কোন রাস্তা দিয়ে গেলে পুলিশ থাকবে না। কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে সহজে ক্যাপিটল হিলে প্রবেশ করা সম্ভব। এই হামলার জন্য তাদের কোন কোন হাতিয়ার রাখতে হবে তার সব নির্দেশনা দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া ছিল। ট্রাম্প সমর্থকরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক হামলা পরিচালনা করেছে।
এছাড়া ট্রাম্পও তার সমর্থদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু টুইট দিয়েছেন। হামলার সময় টুইটার ছাড়াও ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সরব ছিলেন বিদায়ী এই প্রেসিডেন্ট। পরে তার ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ প্রপ্সঙ্গে ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টের মাধ্যমে সহিংসতা উস্কে দেয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ করছে ব্যবহারকারীরা। এজন্য ট্রাম্পের টুইটার ১২ ঘণ্টা এবং ফেসবুক ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে টুইটার এক্ষেত্রে আরও কঠোর বার্তা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি ট্রাম্প বিতর্কিত টুইটগুলো মুছে না ফেলে তবে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট সবসময়ের জন্য মুছে ফেলা হবে।
অপরদিকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের পোস্ট সরানোর বিষয়ে বিবিকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে সহিংস বিক্ষোভ দেশটির জন্য অপমানজনক। আমরা সবসময় উস্কানি নিষিদ্ধ করি এবং সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাই। এজন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পোস্টটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চলমান সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাস করবে।