বিদেশে পাঠানোর নামে ৬ যুবকের ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের শ্রীপুরের খোরশেদ আলম ও সোরক মিয়া সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তারা দুই জনসহ তাদের পরিচিত ইসমাইল, নিজামউদ্দিন, মঈনউদ্দিন ও জামালের স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে পরিবারে সচ্ছলতা আনবেন।
মালয়েশিয়ায় চাকরির উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের জুনে এই ছয় যুবক আব্দুর রহমান কাঞ্চন ও তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন ৩১ লাখ টাকা। কাঞ্চন হলেন খোরশেদ আলমের চাচা। কিন্তু প্রতারণার শিকার হয়ে তাদের আর বিদেশে যাওয়া হয়নি, এখন টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না।
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত গোল্ড ক্রেস্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে যে রিক্রুটিং এজেন্সিতে কাঞ্চন ৩১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন সেই প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় নিতে পারেনি। এ ব্যাপারে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর গোল্ড ক্রেস্ট ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. আব্দুল বাতেন এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের স্টাফ মো. নাছিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা করেন আব্দুর রহমান কাঞ্চন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা গেছে, আব্দুর রহমান ঐ ছয় যুবকের চাকরির জন্য গোল্ড ক্রেস্ট ইন্টারন্যাশনালকে টাকা দিলেও তাদেরকে বিদেশে নেওয়ার মূল দায়িত্ব ছিল মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপনের। ক্রেস্ট ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল বাতেন তাদের ভিসার জন্য প্রাপ্ত টাকা ও পাসপোর্ট দিয়েছিলেন স্বপনকে। কিন্তু স্বপন কাজ না করায় বিপাকে পড়েছেন বাতেন।