করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে অনিশ্চয়তা
উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে আবারো অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশেষ প্রতিবেদনের বরাতে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক রফতানির আয় নির্ভর করছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তার ওপর। করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময় জারি করা লকডাউনের ফলে পোশাক রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে লকডাউন প্রত্যাহারের পর পোশাক উৎপাদন ও রফতানি গতিশীল হতে শুরু করে।
তবে নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পশ্চিমা দেশগুলোতে আবারো সীমিত আকারে লকডাউন আরোপ করতে শুরু করার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হতে শুরু করেছে এবং একইসাথে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও ব্যাহত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় । বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, যেহেতু বাংলাদেশের তৈরি পোশাকর প্রায় ৭৪ শতাংশই রফতানি হয়ে থাকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে তাই এ পরিমাণ পোশাক রফতানি হুমকির মধ্যে পড়েছে।
পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারকরা বলছেন পশ্চিমা দেশগুলোতে আগামী গ্রীষ্মের নতুন রফতানি আদেশ নিয়ে তারা নতুন বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় থাকলেও করোনার দ্বিতীয় দফার ধাক্কায় তাদের আবার শঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের উৎপাদনের সক্ষমতা এখন ৬০ শতাংশের বেশি কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করে তারা জানান এর ফলে কারখানা পরিচালনার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।