সাবধানী শাকিব খান!
নতুন বছরে ‘নবাব এলএলবি’ দিয়ে চমক দেওয়ার কথা ছিল শাকিব খানের। তা নিয়ে প্রস্তুতিও ছিল। দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মে দেশের সুপারস্টারের প্রথম ছবি রিলিজ হবে। তাই স্বাভাবিকভাবে দর্শকদের উত্কণ্ঠাও ছিল ব্যাপক। কিন্তু বিধিবাম! কারণ পরিচালকের নাম অনন্য মামুন। এর আগে একাধিক বিতর্কে জড়ানো এই নামটি নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। ঘটলোও তাই। অবশেষে আপত্তিকর সংলাপের কারণে দেশীয় আইনে দণ্ডিত হলেন। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ বিব্রত ছবিটির হিরো সুপারস্টার শাকিব খান।
এ প্রসঙ্গে শাকিব খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাবতে পারিনি মামুন এমন কাজটা করবে।’ ছবিটি নিয়ে বেশ কয়েক দফা কমিটমেন্ট ভাঙার কথাও বলেন তিনি। প্রথমে ছবিটির শুটিং লোকেশন ছিল ইউরোপে। সেটি নানা কারণ দেখিয়ে পরিবর্তিত হতে থাকে। এরপর একাধিক বিষয়ে শাকিব খানসহ ছবি কলাকুশলীদের আপত্তির কথা জানান। কিন্তু নির্মাতা বরাবরই নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত বদল করছিলেন। যা খুবই বিরক্তি তৈরি করে ইউনিটের অনেকের কাছেই।
শাকিব খান বলেন, ‘দেখুন, আমার একটি ছবি রিলিজ করার জন্য তো বাড়তি কোনো কৌশলের প্রয়োজন নেই। আমার দর্শকরাই আমার মূল কৌশলী শক্তি। সেখানে কেন এমন শঠতার আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন? আমি মনে করি এই সংকটকালে এ ধরনের ঘটনা আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই ক্ষতিকারক।’
শুধু ছবি শুটিংয়ের গল্পই নয়, ছবিটির প্রচারণার প্রথম ঘোষণা অনুষ্ঠানেই অবাক করার মতো কোনো শিল্পীকে অনুষ্ঠানে পাননি নির্মাতা-প্রযোজক। তাই প্রশ্ন থেকে যায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই মহামন্দায় এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক গতিপথকেও থমকে দেবে কি-না!
এদিকে ছবিটি রিলিজ নিয়ে আরেক অস্বস্তি রয়েছে। কারণ অ্যাপের মাধ্যমে নবাব এলএলবি রিলিজ করা হলেও ছবিটির অর্ধেক প্রকাশ করা হয়। বাকি অর্ধেক সিনেমা হলে বা পরবর্তী ঘোষণায় রাখা হয়। অথচ শুরুর দিকে ছবির অনলাইট টিকেট বিক্রিসহ সাবস্ক্রিপশন নিয়ে এ ধরনের তথ্য খোলাসা করে বলা হয়নি। এমনকি ছবিটির রিলিজ নিয়ে ছবির তারকাদের সঙ্গে এ ধরনের কোনো তথ্য, পরামর্শ বা আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে শাকিব খান বলেন, ‘অনেককিছু নিয়েই অন্ধকারে রাখা হয়। এটা কোনো পেশাদারিত্বের ভেতরে পড়ে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে এটুকু শিক্ষা হলো যে, ভবিষ্যতে নতুন কোনো নির্মাতার কাজের ক্ষেত্রে আরো সাবধানী হতে হবে।