রাজনীতিকে ‘না’ বললেন রজনীকান্ত
গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ভারতের সুপারস্টার রজনীকান্ত। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলিউড ও তামিলউডের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
তিন দিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। আর হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেই তিন বছর আগে নেয়া এক সিদ্ধান্ত বদলে দেন।
গত কয়েক বছর ধরেই রজনীকান্ত বলে আসছেন, রাজনীতিতে নাম লেখাবেন তিনি। গত মাসে তিনি জানান, কংগ্রেস, বিজেপি বা অন্য কোনো দল-মতের অধীনে নয়, তিনি নিজেই একটি দল গঠন করে রাজনীতির মাঠে নামবেন।
তার এমন সিদ্ধান্তের পর তামিলনাড়ুসহ ভারতে বেশ সাড়া পড়ে।
তবে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ফিরেই রজনীকান্ত জানালেন, দল গঠন তো দূরের কথা, রাজনীতিতেই জড়াবেন না।
এ নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের উদ্দেশে রজনীকান্ত টুইটারে বিশাল এক বিবৃতি পোস্ট করেছেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির মাঠে আসবেন না বলে সেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তিনি। তার কাছে মনে হচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তির নামে সৃষ্টিকর্তা তাকে বিশ্রামের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন।
রজনীকান্ত লিখেছেন, ‘আমার কিডনিতে সমস্যা আছে। তাই কভিড-১৯ নেগেটিভ হওয়ার পরেও হাসপাতালে যাই। যদি রোগটি থাকত, তাহলে কিডনির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ত। এই কদিনে আমার কারণে সিনেমা জগতের অনেকের চাকরি গেছে, লস হয়েছে। রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত শারীরিক সমস্যার কারণে। এটাকে আমি প্রভুর সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছি।দল গড়ার পর যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালাই, তাহলে আমি রাজনৈতিক কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। জিততে পারব না। রাজনীতি বোঝে এমন কেউ এই বাস্তবতা অস্বীকার করতে পারবেন না।প্রচারণা করতে হবে, মিটিংয়ে যেতে হবে। লাখ-লাখ মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। আমার জন্য
দক্ষিণে থলাইভা আর বলিউডে রজনীকান্ত নামে পরিচিত এই অভিনেতার আসল নাম শিবাজি রাও। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তামিল সিনেমা ‘অপূর্ব রাগাঙ্গাল’ তার প্রথম ছবি। অসচ্ছল জীবনের সঙ্গে লড়াই করে শৈশব কাটিয়েছেন। বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করা অবস্থায় নাটকে টুকটাক অভিনয় করতেন।
১৯৭৩ সালে মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অভিনয়ের ওপর ডিপ্লোমা করার জন্য মাদ্রাজে আসেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে করতে একসময় তারকা বনে যান। তিনি ২০০০ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ অর্জন করেন।