রেকর্ড নবম বার সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে জাপান
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তিকে বিবেচনায় রেখে রেকর্ড টানা নবমবারের মতো সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধি করছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। এবার উন্নত স্টিলথ ফাইটার এবং জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের জন্য এ বাজেট বরাদ্দ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিলে শুরু হওয়া অর্থবছরে ৫ লাখ ৩৪ হাজার কোটি ইয়েন (৫১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার) বরাদ্দ পাবে। গত বছরের চেয়ে এই বাজেট ১.১ শতাংশ বেশি। প্রধানমন্ত্রী সুগার দল সংসদে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় এই বিল পাশ হওয়া একরকম নিশ্চিত। ইয়োশিহিদে সুগা তার পূর্বসূরি শিনজো আবের পথই অনুসরণ করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীনসহ সম্ভাব্য শত্রুদের মোকাবিলায় জাপানের সামরিক বাহিনীকে নতুন বিমান, দূরপাল্লার মিসাইল ও বিমানবাহী রণতরি দিয়েছিলেন।
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমে ওকিনাওয়া দ্বীপ অঞ্চলের সুরক্ষায় দূরপাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলগুলো তৈরি করা হবে। এজন্য ব্যয় করা হবে ৩০ কোটি ২৩ লাখ ডলার। অন্যান্য বড় ক্রয়ের মধ্যে রয়েছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ডলারের ছয়টি লকহিড এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার। এর মধ্যে দুটি শর্ট-টেকঅফ ও ভার্টিক্যাল ল্যান্ডিং ফাইটারও রয়েছে। জেট বিমানগুলো জাপান নিজেই বানাবে। ৩০ বছর পরে আবার জেট বিমান তৈরি করতে যাচ্ছে দেশটি। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪০ হাজার কোটি ডলার। ২০৩০ সাল নাগাদ এর নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন করপোরেশনের সহায়তায় মিত্সুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ কাজে মিত্সুবিশির জন্য ৭০ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হচ্ছে। দুইটি রণতরি নির্মাণে জাপানি সামরিক বাহিনী পাচ্ছে ৯ কোটি ১২ লাখ ডলার। প্রথাগত রণতরির চেয়ে স্বল্পসংখ্যক নাবিক দিয়েই এগুলো পরিচালনা করা যাবে। এর ফলে জাপানের নৌবাহিনীর ওপর চাপ কমবে। এছাড়া সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র: আলজাজিরা