নাগেশ্বরীতে চলমান শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চলমান শৈত্যপ্রবাহে বেড়েই চলছে দুর্ভোগ। অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে বয়স্ক, শিশু ও চরাঞ্চলের ছিন্নমুল, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সোমবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যথারীতি আজও ঘন কুয়াশার চাদর জড়িয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সকাল আসে অনেক দেরিতে। বইছে হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া হিমেল হাওয়া। গত কয়েকদিন থেকেই এমনটা হচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথেই ফের কুয়াশা নামে। সন্ধ্যার পরে তা আরো ঘন হয়ে ঢেকে যায় চারদিক। ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তা-ঘাট। বাকী সময় নির্জনতায় ঢেকে যাওয়া রাত্রিতে গাছের পাতা বেয়ে বৃষ্টির মত টুপ টুপ ঝরে পরা শিশিরের শব্দ কানে আসে। কুয়াশা ঘেরা দিনরাত্রির এ অবস্থায় কমে গেছে তাপমাত্রা। সাথে হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়েছে ঠাণ্ডা। আর এ ঠাণ্ডা মানুষের শরীরে বিঁধছে সুইয়ের মত। টনটন করে হাত-পা। ঠক ঠক কাঁপছে মানুষ ও পশুপাখি। এতে করুণ অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধের। শরীরে কাপড় জড়িয়েও ঠাণ্ডা যাচ্ছে না। খরকুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে তাদের। তারপরেও থামছে না কাঁপুনি। ঠাণ্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সাইফ জামান জানান, চলমান শৈত্যপ্রবাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলিস, অ্যাজমা ও বৃদ্ধরা সিওপিডি, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ২৬ জন রোগীর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। বাকীরা আউটডোরে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।