প্রত্যেক বয়সের একটা সৌন্দর্য থাকে :পিয়া জান্নাতুল
পিয়া জান্নাতুল। মডেল, অভিনেত্রী, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী, পরিচয়ের নানা ব্যাপ্তিতে পরিপূর্ণ জীবন তার। সম্প্রতি নিজের জীবনের নানা গল্পের কথা উল্লেখ করতেই অংশ নিলেন ‘জীবন যেখানে যেমন’ অনুষ্ঠানে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তানভীর তারেক
কেমন আছেন? মাতৃত্বের অনুভবে এই সময়টা আপনার মতো ব্যস্ত নারীর ক্ষেত্রে কী আলাদা?
আলাদা কেন হবে? অন্য যেকোনো নারীর মতোই। আর সময়টা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আমি সেটাকেই এনজয় করছি। আমি আমার ক্যারিয়ারেও সেভাবে খুব গুছিয়ে জীবনকে ধারণ করার চেষ্টা করেছি। এছাড়া আমি তো সবসময়ই খুব অকপট, খুব স্পষ্ট থাকতে চেয়েছি। তাই এই সময়কালকেও আমি প্রকাশ করতে চেয়েছি।
ঘরে বসে কী করছেন এ সময়, যা অন্য সময় করা হয়ে ওঠেনি—
প্রচুর গল্প, উপন্যাস, মোটিভেশনাল বই পড়া হচ্ছে। আইন পেশায় থাকার কারণে এমনিতেই খুব পড়াশোনার ভেতরে থাকতে হয়। তবে এই সময়টাতে এগুলো পড়ার সুযোগ সময় পাচ্ছি।
তারকারা অনেকেই এই মাতৃত্বকালকে গণমাধ্যমে অপ্রকাশিত রাখেন। মুটিয়ে যাওয়া শরীর বা তথাকথিত গ্ল্যামারহীনতা প্রকাশ করতে চান না—
না, আমি কখনোই বিষয়টি সেভাবে দেখি না। প্রত্যেক বয়সের একটা সৌন্দর্য থাকে। আর সঠিক সময়ে মা হওয়াটাও জীবনে খুব জরুরি। জীবন তো আর স্বল্পকালের গ্ল্যামার নিয়ে নয়। এছাড়া আমার যেহেতু মডেলিং, অভিনয়ের বাইরেও আইন পেশা ও নিজের ব্যবসা দেখার একটা ব্যস্ততা রয়েছে সেদিকটাও খেয়াল রাখছি।
চোরাবালি দিয়ে ছবির কাজ শুরু হলেও চলচ্চিত্রে সেভাবে নিয়মিত হননি পিয়া। এটা কী ইচ্ছে করেই। নিজের পরবর্তী রেগুলার লাইফে কী এ ব্যাপারে আরো সচেতন হবেন?
দেখুন, আমার ভেতরে কোনোদিনই তাড়াহুড়ো নেই। আর আমি সবসময়ই বলি—আমার নিজের বা ঐ যে বলে না আল্লাহ প্রদত্ত মেধা ওসব কিছুই নেই। আমার যা আছে তা হলো পরিশ্রম। ইশ্বর প্রদত্ত একটা জিনিসই পেয়েছি, তা হলো উচ্চতা। তাই আমার যা কিছু অর্জন সবটাই একেবারে ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের ফসল। আগামীতেও এই ছন্দে কাজ করে যেতে চাই।
নিজের আইন পেশার অভিজ্ঞতা কেমন?
আমাকে যারা ফলো করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন যে, আমি খুব সিরিয়াসলি ল’ প্র্যাকটিস শুরু করেছি। মাঝে এই বিরতির পর আবারো কাজ করবো। তবে যেটা হয়, অনেক অসহায় নারী পরামর্শ চায় আমার কাছে। আমি খুব সানন্দে এই বিষয়গুলো উপভোগ করি এবং সহযোগিতা করি। একবার কণ্ঠশিল্পী মিলার সংসার জটিলতা নিয়েও একজন এসেছিল। কেসটা আমি নীতিগত কারণেই নিইনি। তবে সমাজের নানা সংকট ও সমাধানে সরাসরি কাজ করতে পারি। সে কারণে এই পেশাটিকে আমার ভীষণ সম্মান করতে ইচ্ছে করে।
‘ভোগ’-এর কাভার গার্ল, মডেলিংয়ে এদেশের শীর্ষ সম্মাননা পাওয়া নারী আপনি। সেক্ষেত্রে জীবনের স্বপ্নের কথা যদি জানতে চাই—
অবশ্যই যা-ই করি না কেন, তা যেন সমাজের জন্য মঙ্গলকর হয়। সে কারণেই প্রতিটি কাজকে আমি সমান সম্মান করতে চাই। কারণ অনেক স্ট্রাগল করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। সবাই আমার জন্য সেই দোয়াটুকুই করবেন।