ব্রিজ না থাকায় হাজারো মানুষের ভোগান্তি
এপারে মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের হাসিলপালবাড়ী। ওপারে ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের বলিয়াবাড়ী। মধ্যখানে বংশাই নদী। নদীর দফাদার ঘাটে ব্রিজ না থাকায় দুই উপজেলার হাজারো মানুষের নিত্য ভোগান্তি
ঘাটপারের দফাদারবাড়ীর সদস্য তুলসী চৌকিদার জানান, পূর্বপুরুষরা শত বছর এ ঘাটের খেয়ানৌকার পাটনি ছিলেন। নদীর এক পাড়ে আমবাড়ীয়া হাইস্কুল ও জমিদারবাড়ী। অপর পাড়ে হাসিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে একাধিক মাদ্রাসা, হাটবাজার। ছাত্রছাত্রী ছাড়াও মির্জাবাড়ী ও ধোপাখালী ইউনিয়নের হাজারো মানুষ ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলা সদরে যাওয়া-আসায় এ ঘাট পারাপার হন।
মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আরশেদ আলী মণ্ডল জানান, বংশাই নদীর এ ঘাটে সারা বছর পানি থাকে। তিন বছর আগে মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ এখানে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে। কিন্তু সংস্কার না করায় ব্রিজটির এখন করুণদশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে হাসিলপালবাড়ী, বলিয়াবাড়ী, মঠবাড়ী, মির্জাবাড়ী, কুঠিবাড়ী, রাধাপালবাড়ী, আমবাড়ীয়া, পীরপুর, চাঁনপুর, দুর্গাপুরসহ ২০ গ্রামের মানুষ। উত্পাদিত সবজি ও কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিতে এ ঘাটই ভরসা। কিন্তু ভগ্নদশার কাঠের ব্রিজে পণ্য পারাপার দূরের কথা হেঁটে পার হওয়াই দুঃসাধ্য। প্রতিদিনই ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান তালুকদার জানান, দলীয় কোন্দলের কারণে তার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বঞ্চিত। ইউনিয়ন পরিষদের বহু নিবেদন সত্ত্বেও মির্জাবাড়ী-আমবাড়ীয়া রাস্তা পাকা হয়নি। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে যুক্ত দফাদার ঘাটের বংশাই নদীতে ব্রিজ হয়নি। তিন বছর আগে সামান্য সরকারি বরাদ্দ আর নিজের শ্রমঘাম ও অর্থে ৪ লাখ টাকায় কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করেন। কিন্তু অর্থাভাবে ব্রিজের সংস্কার করা যাচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ভগ্নদশার ব্রিজ পারাপার হয়। আর আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিদের ভোটচোর বলে গালি দেয়।
মধুপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী বিদ্যুত্ কুমার দাস জানান, চলতি অর্থবছরে বংশাই নদীর মধুপুর-বোয়ালী এবং গপিনাথপুর-কুড়ালিয়া প্রান্তে দুটি ব্রিজ হবে। হাসিলপালবাড়ী- বলিয়াবাড়ী প্রান্তে ব্রিজ হওয়ার কোনো প্রস্তাবনা নেই।