চীনকে থামাতে একজোট চার দেশ, ক্ষুব্ধ বেইজিং
চীন যেভাবে ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করছে ও আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াচ্ছে, তা ঠেকানোর জন্য একজোট হয়েছে চার দেশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে এই জোট হয়। জোটের নাম ‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ’ বা কোয়াড। গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে কোয়াডের বৈঠক হয়েছিল। মঙ্গলবার আবারো বৈঠক হচ্ছে টোকিওতে। বৈঠকটি এমন সময় হচ্ছে যখন লাদাখ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। কোয়াডের বৈঠকের আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আলাদা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে কথা বলেন। লাদাখে সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন দুই দেশের মন্ত্রী।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর টুইটে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, জয়শঙ্করের কথা থেকে পরিষ্কার যে, চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একযোগে কাজ করবে।এদিকে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।প্রবীণ সাংবাদিক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, জয়শঙ্কর ও পম্পেওর বৈঠক থেকে এই বার্তাই স্পষ্ট যে, দুই দেশ চীনকে ঠেকাতে হাত মিলিয়ে চলবে। তারা স্পষ্টভাবে বিষয়টি না বললেও তাদের আসল উদ্দেশ্য যে চীনের মোকাবিলা করা তা বোঝাই যায়।
এদিকে চীন তাদের প্রধান বৈরী এই চারটি দেশের মধ্যে বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ। জানা গেছে, মঙ্গল ও বুধবার টোকিওতে কোয়াডের বৈঠক চলার সময় তিন থেকে চারটি নৌ এবং বিমান মহড়া করবে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা র্যান্ড কর্পোরেশনের এক প্রকাশনায় সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যাস লিখেছেন, পরিস্থিতি এখন অন্যরকম। কারণ এই চারটি দেশের সবগুলোই এখন চীনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের প্রশ্নে একমত। সূত্র: বিবিসি, ডয়চে ভেলে