চার ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত
৩৬ জন ফুটবলার তিন ভাগে, তিন দিনে প্রাথমিক ক্যাম্পে যোগ দেবেন গাজীপুরে একটি রিসোর্টে। এভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার আগে প্রমাণ দিতে হবে করোনায় আক্রান্ত নন, এমন সনদ দেখাতে হবে। আজ প্রথম দিনে ১২ জন ফুটবলারের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও যোগ দিচ্ছেন ৮ ফুটবলার। এবার করোনা হানা দিয়েছে জাতীয় ফুটবলারদের ঘরে। এটি দেশের ফুটবলে প্রথম ঘটনা। ৪ ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরা হলেন বসুন্ধরার বিশ্বনাথ, উত্তর বারীধারার সুমন, পুলিশের বাবলু ও রাসেল।

বিশ্বনাথ ঘোষ দুদিন আগেই সস্ত্রীক করোনা রোগে আক্রান্ত। অন্য তিন ফুটবলারের করোনা টেস্ট করা হলে গতকাল রাতেই তাদের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এদেরকে সেলফ আইসোলেশনে পাঠিয়েছে বাফুফের মেডিক্যাল কমিটি। নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ক্যাম্প তার জন্য বন্ধ। বাফুফে বলেছিল ক্যাম্পে যাওয়ার আগেই যেন করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসা হয়। তারপরও বাফুফের মেডিক্যাল কমিটি খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। গতকাল ক্যাম্পে গেছেন পাপ্পু হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মানিক হোসেন মোল্লা, মঞ্জুরুর রহমান মানিক, আব্দুল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, বিপলু আহমেদ, সুফিল।
করোনা ছাড়াও বসুন্ধরার আরো তিন ফুটবলার ক্যাম্পে যাচ্ছেন না। মাসুক মিয়া জনি, আতিকুর রহমান ফাহাদ এবং মতিন মিয়া। ইনজুরি কাটিয়ে এখন মাঠে ফেরার পথে হলেও এই তিন জনকে অনুমতি দেয়নি বসুন্ধরা কিংস। তারা চাইছে চোটমুক্ত ফুটবলাররা যেন নিজেদের ক্লাব অনুশীলনে যোগ দেয়। ক্লাব এমনটাই মনে করছে। সেপ্টেম্বরে বসুন্ধরার অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ সামনে তাদের এএফসি কাপের খেলা। এছাড়াও এই মুহূর্তে আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবনকে পাওয়া কঠিন। জ্বর অনুভব করছেন বলে জানা গেছে। জীবন এখন বগুড়ায় নিজ বাড়িতে। জামাল ভুঁইয়া এবং নতুন ডাক পাওয়া ফিনল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে খেলার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তারিক রায়হান কাজী আসতে পারছেন না ফ্লাইট ঝামেলার কারণে। ফ্লাইট পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই দুই জন নিজ নিজ সরকারের অনুমতি ছাড়া ডেনমার্ক এবং ফিনল্যান্ড হতে বাইরে যাওয়া কঠিন। লন্ডনে অবস্থানরত জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে জানিয়েছেন এই ফুটবলাররা পরে ক্যাম্পে যোগ দেবে।